ধলাই ডেস্ক: করোনাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের মতো সরকার সাংবাদিকদেরও প্রণোদনা প্রদান করে। তবে এ প্রণোদনার ছিটেফোঁটাও পৌঁছায়নি মফস্বল সাংবাদিকদের মধ্যে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা প্রণোদনা চেয়ে লিখিত আবেদন করেও কোন প্রণোদনা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, করোনা মহামারীর কারনে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণা করে। এরপর থেকে জেলা পর্যায়ে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়। এসময়ে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়েও সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার জাতীয় দৈনিকে কর্মরত একাধিক সাংবাদিকরা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি মাঠেঘাটে দায়িত্ব পালন করেন। মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনায় সাংবাদিকদের মূখ্য ভূমিকা ছিল। সরকার কর্মহীন মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সেক্টরের মতো সাংবাদিকদের মধ্যেও প্রণোদনা প্রদান করা হয়। তবে এসব প্রণোদনা জেলা পর্যায়ে কিছু সাংবাদিকের মধ্যে প্রদান করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তা পৌঁছায়নি। ফলে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি নূরুল মোহাইমীন মিল্টন বলেন, করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে কমলগঞ্জের জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠে, ঘাটে সাংবাদিকরা সরব ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ সরকার প্রণোদনা ঘোষনা করলেও উপজেলা পর্যায়ে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে কোন প্রণোদনা প্রদান করা হয়নি। তারা আরও বলেন, যারা ঘরে বসে ছিলেন জেলা পর্যায়ের এমন সাংবাদিকরাও প্রণোদনা পেয়েছেন। আর মাঠে, ঘাটে কাজ করেও সরকারের প্রণোদনা বঞ্চিত উপজেলা সাংবাদিকরা। সে সময়ে প্রণোদনা প্রদানের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও আবেদন করা হয় বলে তারা দাবি জানান।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সাংবাদিকদের আবেদনের কপি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যথাসময়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য কোন প্রণোদনা আসেনি। এধরণের কোন প্রণোদনা আসলে তা প্রদান করা হবে।