করোনা সংক্রমনকালে কমলগঞ্জে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও টাইফয়েডের প্রকোপ

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০
ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা সক্রমণকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এখন ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও টাইফয়েডের প্রকোপ শুরু হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে রোগীরা প্রাইভেট ফিজিশিয়ানের কাছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্রই মানুষজন ভাইরাল ইনফ্লোয়েঞ্জায় ভোগছেন। ইফ্লোয়েঞ্জার কারণে রোগীর জ্বরের সাথে স্বর্দি, কাশি,মাথা ব্যথা রয়েছে। জ্বর, স্বর্দি, কাশি ও মাথা ব্যথার কারণে প্রথমেই আক্রান্তদের মাঝে করোনার ভয় শুরু হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রাইভেট চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাদের দেওয়া পরামর্শে ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় ইনফ্লোয়েঞ্জার সাথে রোগীরা টাইফয়েডে আক্রান্ত রয়েছেন।

ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েডের আক্রান্ত কয়েকজন রোগী জানান, জ্বর, স্বর্দি, কাশি ও মাথা ব্যথা থাকায় প্রতিবেশীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে। অনেক প্রতিবেশী দূরত্ব বজায় রেখে চলতে শুরু করে।

শমশেরনগর পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনি বিভিন্ন চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের আলোকে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় রোগীর একটি অংশ টাইফয়েডে আক্রান্ত রয়েছেন।

কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজার এলাকার প্রাইভেট চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম ও শমশেরনগর বাজারের প্রাইভেট চিকিৎসক ডা. শ্যামলেন্দু সেন শর্মা বলেন, এসময়টায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ও টাইফয়েডের সংক্রমণকাল। এক এলাকায় ইনফ্লোয়েঞ্জা শুরু হলে তা ভাইরাল হয়ে সর্বত্র ছড়ায়। আর এখন বৃষ্টির সময় হিসেবে পানিবাহিত রোগ টাইফয়েডে মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন। ডা. নুরুল ইসলাম ও শ্যামলেন্দু সেন শর্মা বলেন, প্রতিদিন তারা গড়ে ৩জন করে টাইফয়েড রোগীর চিকিৎসা সেবা দিছেন। এসব রোগীরা বাসায় বিশ্রাম নিয়ে ফুটানো পানি পান করতে হবে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই, বিশ্রামের সাথে নিয়মিত ঔষধ সেবন করলেই ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েড রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া কমলগঞ্জে ইনফ্লোয়েঞ্জা ও টাইফয়েড রোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আবহাওয়ার কারণে এ সময়ে এ রোগ হয়ে থাকে। তবে এ রোগের প্রাদুর্ভাব তেমন দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ দিকে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখছে বলেও তিনি জানান।