জনতার বন্ধু মেয়র জুয়েল আহমেদ ! নির্মল এস পলাশ

প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক
শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক:  জনতার বন্ধু বা পৌরবাসীর একান্ত আপনজন হয়ে উঠার সাধনায় আওয়ামী লীগ মনোনিত কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ছিলেন মোঃ জুয়েল আহমেদ একটাই ভাবনা ও লক্ষ্য, “কর্মগুণে ও সৃষ্টির মাধ্যমে” গণমানুষের সেবক হয়ে ওঠা। চিরদিন জনতার মাঝে জনতার হয়ে বেঁচে থাকতে চাওয়া। আর এর জন্য ভালো মানব সেবার ব্রত নিয়ে একজন মানবতাবাদী জনপ্রতিনিধি হতে আবারো প্রস্তুত ছিলেন।
মেয়র মোঃ জুয়েল আহমেদ তার ছোট্ট অথচ মুল্যবান একটি কথা পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলা কথা, যা প্রকাশ না করলেই নয়- “জনতার কাছে সাহেব নয়, সেবক হতে চাই। পৌর মেয়র পদ বা পদবী চাওয়া নয়, জনতার সেবার ‘মাধ্যম’ হতে চাই মাত্র”। “পৌরভবন” কে সকল সমস্যার সমাধান, ন্যায় বিচার কেন্দ্র বা নাগরিক সেবালয় ও পৌরবাসীর চাওয়া-পাওয়ার আস্থার ও নির্ভরযোগ্য একটি “ঠিকানা’র স্থায়ী রূপ দিতে চাই। এই বার্তাটি তিনি নিরবে পৌরবাসীর কাছে পৌঁছাতে ও তাদের আস্তা অর্জন করতে পেরেছেন। মেয়র মোঃ জুয়েল আহমেদ বিত্তশালী থেকে আরো বিত্তশালী হওয়ার পেছনে না ছুটে, কেবল তিনি জনগনের সেবক বা সেবার ফেরিওয়ালা হতে মননে চিত্তে ধারণ করেন। বিত্তশালী হয়েও যেমন হৃদয়বান হওয়া যায় না। ধনী হলেও মানুষ তাকে ভালোবাসার পিঞ্জরের বাধনে বেধে ত রাখে-না, মানুষ বেঁচে থাকে মানুষের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আপন কর্মের গুণে। অনেকেই মনে করেন নিজ সম্পত্তি দিয়ে সেবা ও অবকাঠামো নির্মান করেও তো সেবামুলক কর্মকান্ড করা যায়। অনেক সেবামূলক কাজ করতে গেলে বা সরকারি ভূমিতে করতে গেলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ প্রয়োজন পড়ে। তাই জনপ্রতিনধি হওয়া প্রয়োজনীতা রয়ে যায়। আর মানুষের অধিকার মুলক সেবা রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমেই । কিন্তু তা বাস্তবায়নে জনপ্রতিধির ভুমিকা আমাদের দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । প্রকৃত দেশ-জনতা প্রেমিক জনপ্রতিনিধিরা যখন তাদের কাজটুকু শতভাগ জনগনের কল্যাণে করতে পেরেছে তারাই জনপ্রিয় তারাই ইতিহাস, তারাই জনতার মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তারাই এ পৃথিবী থেকে চলে গেলেও, নিজ কর্মগুণে অমর হয়ে থাকেন মানুষের মাঝে । মানুষের ভালোবাসায়। তবে সরল হিসাবে বলা যায় মেয়র জুয়েল আহমেদ এর রাজনৈতিক – সামাজিক আত্মপরিচয় এবং অর্জিত পৈত্রিক সম্পত্তি ও তার নিজস্ব ব্যাবসা যা রয়েছে তা যথেষ্টই শুধু নয়, জীবন ধারণে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী। তবুও তিনি মানবতার কল্যাণে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেন পৌরবাসী তথা পুরো উপজেলা মানবসেবায় অবাধ বিচরণ। সেই স্বীকৃত স্বরূপ মৌলভীবাজার ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী নির্বাচিত হয়েছিলেন । যখনি কোথাও কোনো মানুষের সমস্যা ও করোনাকালীন দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মী সহ পৌরবাসী বিভিন্ন কর্মহীন মানুষের সহযোগিতা ছিলেন প্রতিনিয়ত। করোনা আক্রান্ত রোগীর সার্বক্ষণিক খুজ – খবর চিকিৎসা সুনিশ্চিত করাসহ সাহস যোগিয়ে কোভিট আক্রান্তের মনোবলকে চাঙা করেছিলেন। তাই তৃণমূলের মানুষের ভালোবাসার সিক্ত হলেন। দ্বিতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন। পৌরবাসীর বিশ্বাস ও আস্তা ছিল অটুট জনতার বন্ধু জুয়েল এর প্রতি । মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগামী দিনগুলো যাত্রা হোক পুস্পিত ও কল্যাণময় ।
লেখক – নির্মল এস পলাশ, সাংবাদিক
কমলগঞ্জ।