জনদুর্ভোগ চরমে, শমশেরনগর বিমানবন্দর সড়কে ড্রেনেজ ধ্বসে!

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯

শমশেরনগর সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারের চৌমুহনাস্থ বিমানবন্দর সড়কে ড্রেনেজ ধ্বসে গর্ত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে যান চলাচল। বাসাবাড়ি ও ড্রেনের ময়লা পানিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তার ড্রেনেজের ওই স্থান দিয়ে যান চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ময়লা পানি জমে রাস্তার দু’পাশে গর্ত হওয়ায় ছোট ছোট যানসমুহ গর্তে আটকা পড়ছে। ভারী যানবাহনের চাপে যেকোন মুহুূর্তে ড্রেনেজ ভেঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা গর্তের মাঝখানে কাঠের টুকরো প্রবেশ করে রাখলেও গাড়ির চাপে গর্তের পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড্রেনেজ সংস্কারে বরাদ্ধ প্রদান করেন।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার নিচ দিয়ে পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিনষ্ট হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মার্কেটের সম্মুখে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনের ময়লা পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পথচারীদের রাস্তা পারাপারে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড্রেনেজ মেরামতের জন্য শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কিছুদিন আগে ঠিকাদারের মাধ্যমে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে অর্ধেক অংশে ড্রেনেজের কাজ শুরু করেন। নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় ড্রেনেজ অংশ ভেঙ্গে পরে। পরবর্তীতে ড্রেনেজের পানি জমে ও যানবাহনের চাপে রাস্তার মাঝখানে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়।
ব্যবসায়ী রায়হানুর রহমান, মোস্তাকিন আহমদসহ ভূ’ক্তভোগী স্থানীয় জনগন অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের দেখার কথা থাকলে বার বার বলার পরও কেউ কর্ণপাত করছেন না। ফলে গর্তে গাড়ি আটকে যেকোন মুহুূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, কিছু কাজ করার পর গাড়ির চাপে আংশিক ভেঙ্গে গেছে। তবে ড্রেনেজের কাজ থাকায় সচরাচর শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে শনিবার রাতে ড্রেনেজের কাজ পুণরায় শুরু হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ থাকায় এলজিএসপি’র বরাদ্ধ থেকে দ্রুত ড্রেনেজের মেরামতের জন্য শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। আংশিক কাজ হলেও বাকি অংশ শীগগির মেরামত করা হবে।