জাতীয় যুব কাউন্সিলের ভোলা জেলার প্রতিনিধি জিয়াউল হক জিহাদ

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। দেশে এখন কত প্রশিক্ষিত যুবক রয়েছেন, তারও একটি ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। গেল বছর যুব দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল-‘প্রশিক্ষিত যুব উন্নত দেশ : বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’

সেই লক্ষ্যে দেশের প্রশিক্ষিত যুবদের নিয়ে গঠিত যুব সংগঠন যুব ও ক্রীড়া অধিদপ্তরে নিবন্ধিত করা এবং যুব সংগঠকদের প্রশিক্ষিত করে গ্রাম-ই হবে শহর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীনে গঠিত হলো জাতীয় যুব কাউন্সিল। বাংলাদেশের যুবদের অধিকার, আত্মকর্মী তৈরি ও বেকারত্ব নিরসন সহ দক্ষ যুব তৈরিতে এই কাউন্সিলের ভূমিকা হবে অগ্রগণ্য। উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে কাউন্সিলের সাধারণ পরিষদের গেজেট প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এতে ভোলা জেলার যুব কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মো: জিয়াউল হক জিহাদ।

জিয়াউল হক জিহাদ বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মো: ফখরুল আলম ও আফসারুন নেছার মেঝ ছেলে। জিয়াউল হক জিহাদ ছাড়াও তাদের আরও দুজন সন্তান রয়েছে। তিনি হাফিজ ইব্রাহিম কলেজ থেকে এইচ এসসি ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি একাধারে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও একজন দক্ষ সংগঠক। শিল্প-সাহিত্যের অন্যান্য শাখাও তাঁর অনবদ্য দখল রয়েছে।

ঢাকার ওয়াইজঘাটের বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে রবীন্দ্র সংগীতের উপর ৪ বছরের কোর্স করেছেন। মূলত সংগীতের প্রতি তাঁর ভালবাসা সেই ছাত্রাবস্থা থেকেই। রবীন্দ্র সংগীতের দখল থাকলেও বর্তমানে ইসলামি সংগীতের উপর ঝোঁক একটু বেশিই।

সংগঠক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ১১ বছরের। তিনি বোরহানউদ্দিন পল্লী যুব সংঘের সভাপতি। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২ বছর কাজ করেছেন মাই রাইট ” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, ইউথ সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট” এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২ বছর কাজ করেছি।

জিয়াউল হক জিহাদের সাংগঠনিক কাজের ধরনগুলো হচ্ছে- বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক বিরোধী কর্মসূচী,তাছাড়া ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক,সাংস্কৃতিক,শিশু শুরক্ষা, গ্রামীণ জীবনে মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম, জেন্ডার, যৌন প্রজনন স্বাস্থ্যবিধী, স্কুল বহির্ভুত শিশুদের শিক্ষা কর্মসূচী,নারীর ক্ষমতায়ন, যুব ও যুব নারীদের আয় বৃদ্ধীমূলক এবং জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা।কাজ করেছেন, সোসাইটি  ফর প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন রিস্যার্স এন্ড ইভ্যালুয়েশন (SPIRE), প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর আওতাধীন ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পেও।

এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন ভিজিডি প্রকল্পে উপজেলা প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর পদে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। কাজ করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ সুশীলন ‘-এ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকরণ প্রকল্পেও।

জিয়াউল হক জিহাদ বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর অধীনে কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পে সংগীত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই প্রসঙ্গে জিয়াউল হক জিহাদের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর নিকট লাখ লাখ শুকরিয়া যে দ্বীপ জেলার হাজার হাজার যুবদের মধ্য থেকে আমি জাতীয় যুব কাউন্সিলের জেলা প্রতিনিধি মনোনিত হয়েছি। সেই সাথে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রনালয়ের সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা, ভোলা জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানষকণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশে এসে পৌঁছেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা গঠনে ২০৩০ সালের এসডিজি পরিকল্পনায় ১৭ টি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে গেলে যুব সমাজের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এহেন পরিস্থিতিতে জাতীয় যুব কাউন্সিল দেশে-বিদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। দেশের ৬৪ জেলার ৭৫ যুব প্রতিজনই এক একটি স্থম্ভ হিসেবে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে যুবারা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে শীঘ্রই মুক্তি পাবে। আসুন সকলেই কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করি। যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই হোক মোদের অঙ্গীকার