জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩

ধর্ম ডেস্ক: পবিত্র কুরআনের ১৮ নম্বর সুরা হলো ‘সুরা কাহাফ’। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ১১০।

হজরত আনাস রা. বলেন, এ পূর্ণাঙ্গ সুরাটি একসাথে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন।

 

জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। – সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩

 

হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে হেফাজত থাকবে। সহিহ মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩

প্রিয় পাঠক, আসুন, আমরা জুমার দিনে পবিত্র কুরআনের সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে ওপরে বর্ণিত সওয়াব অর্জন করি। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। আমিন।