ধলাই ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
বুধবার সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলার সুরমা বাঁশখলা গ্রাম ও মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। নিহত সাইফুল আলম ছাতকের মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে।
জানা যায়, দুই তরুণী বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুরমা সেতুতে বেড়াতে এলে বাঁশখলা গ্রামের কয়েকজন যুবক টিকটক ভিডিও তৈরির নামে তাদের উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের মামুনসহ কয়েকজন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে মামুনকে ছুরিকাঘাত করেন টিকটক ভিডিও ধারণকারীরা। এ খবর মামুনের গ্রামে ছড়িয়ে পাড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামবাসী তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট হাসপাতালে নেয়ার পথে সাইফুল নামে একজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদ জানান, বেড়াতে আসা দুই মেয়ের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার প্রতিবাদ করায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।