টুপি পরে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন মুসলিমরা : কলকাতার মেয়র

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

ডেস্ক নিউজ: কলকাতার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক কাতারে এসে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। গত ডিসেম্বরে তিনি কলকাতার প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা দেশটির চলমান লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে এবার আলোচনায় এলেন।

শুক্রবার নদিয়ার এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, এবারের ভোট ইয়ারকি মারার ভোট নয়। আনন্দ করার ভোট নয়। আজকের ভোট মোদি রামের ভোট। কালকে মাথা তুলে থাকতে পারব কিনা, তার ভোট। আমাদের টুপি পরে নামাজ পড়তে দেবে না। ইউপিতে (উত্তরপ্রদেশ) ছেলে নামাজ পরতে গেলে টুপিটা পকেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মা। বজরং দল দেখলে মেরে দেবে। মসজিদে গিয়ে টুপি পরবি।

কৃষ্ণনগরে সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে টুপি পরে যাওয়া মানা। বজরং দল দেখে নিলে পিটিয়ে মেরে দেবে। দাঁড়ি কেটে ফেলছে মুসলিমরা। উপরওয়ালা ছাড়া কারো কাছে মাথানত করব না।

অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ টেনে কলকাতার এই মেয়র বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ বলছে, গরুর চেয়ে মানুষের দাম কম। লিখে নিন, সাধারণ মানুষকে গরু খাওয়ার জন্য মেরে দিয়েছে বজরং দল।

গোমাংস রফতানিকারকদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ। গোমাংসের রফতানীকারক সঙ্গীত সিং, বিজেপির বিধায়ক। আরেক রফতানিকারক শ্রীকান্ত শর্মা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সহ-সভাপতি। গরুর মাংস রফতানি করছে অসুবিধা নেই। কিন্তু মানুষ খেলে দোষ। কেন গরুর মাংস ব্যান হলো?

গোমাংস নিষিদ্ধ করে বিজেপি ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তার যুক্তি, গরুর মাংস না খেলে দাম কমে যাবে। রফতানিকারকদের কাছে সস্তায় চলে যাবে। আজম খান বলেছেন, বিফ এক্সপোর্টারদের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি।

ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তৃতার অভিযোগ করেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর কথাও জানিয়েছে দলটি।