টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, সাড়ে পাঁচশ ঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় দুটি ঘর, কমিউনিটি সেন্টারসহ রোহিঙ্গাদের ৫৫২ টি পরিবারের সমন্বয়ে গড়া একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোররাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস সকাল নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পের ছৈয়দুর রহমান নামে একজন বাসিন্দা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের অন্তত ৫৫২টি রোহিঙ্গা ঘর পুড়ে যায়। এ সময় ইউএনএইচসিআরের একটি কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় লোকের বসত ঘরও আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরো কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে অনেকে সিগারেট বা কয়েল থেকেও অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।

খবর পেয়ে টেকনাফ ও উখিয়ার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় ৩ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল হান্নান অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় কিভাবে তা ঘটলো এখনো জানা যায়নি। হিসাব মতে আগুনে ৫৫২টি ঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু দোকানপাট পুড়ে থাকতে পারে, সেগুলো ক্যাম্পের ঘর হিসেবে গণ্য নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে রাত যাপনের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চলছে। তাদের জন্য নিয়মানুসারে আবারও ঘর করা হবে।

এদিকে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বেলা ১০ টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।