ঢাকায় ইসলামী দলের বিক্ষোভ, ফরাসি দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে গণমিছিল, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী দল।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে জুমার নামাজের আগেই দেখা যায় মানুষের ঢল। নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ইসলামের শত্রুরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’সহ বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয় এলাকা।

শুধু বায়তুল মোকাররম এলাকা নয়, রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও জুমার পর বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

জুমার পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ২ নভেম্বর (সোমবার) ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজত নেতা আল্লামা নূর হোসেন কাশেমী।

সমাবেশে খেলাফত মজলিসের নেতা আল্লামা মামুনুল হক বলেন, আজ শুধু বায়তুল মোকাররম চত্বরে নয়, সারাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত লক্ষ-কোটি তৌহিদী জনতা জুমার পরে রাজপথে অবস্থান করছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর মুসলিমরা মুষ্টিবদ্ধ হাতে স্লোগানে উত্তাল করেছে পৃথিবীর আকাশ-বাতাস।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ঘোষণা করুন। ফ্রান্সের সকল পণ্য বাংলাদেশে আমদানি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে স্পষ্ট পয়গাম পৌঁছে দিন। ফ্রান্স দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিন।

এর আগে, সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। খেলাফত মজলিসও দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

মত-প্রকাশের স্বাধীনতার শিক্ষা দিতে গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি স্কুলের শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবী (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন দেখিয়ে চেচেন বংশোদ্ভূত এক কিশোরের হাতে খুন হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফ্রান্সে প্রকাশ্যে মহানবীর কার্টুন প্রদর্শিত হয়। মহানবীর (সা.) কার্টুন প্রদর্শন ঘিরে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের ইসলামবিরোধী অবস্থানের প্রতিবাদে ক্ষোভ দেখা দেয়। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফরাসি পণ্যসামগ্রী বর্জনের ডাক দেয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক দেশ।

তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ব্যাপক আকারে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মুসলিমরা। এখান থেকেও উঠেছে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক।