ডেস্ক রিপোর্ট: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক।
নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগেও অভিযুক্ত এই ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। কয়েক দফায় তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এমন অভিযোগে করেছেন ডিআইজি মিজান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিষয়ে গতকাল একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক।
তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আজকের মধ্যে এই কমিটি দুদকের মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিআইজি মিজানের দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ মে পর্যন্ত দুই দফায় (প্রথমে ২৫ লাখ, পরে ১৫ লাখ) ঘুষের এই টাকা লেনদেন হয়েছে রমনা পার্ক এবং পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর কাপড়ের দোকানে। তিনি বলেছেন, দুদকের ওই পরিচালক ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এর মধ্যে অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা ছাড়াও তিনি তার সন্তানের স্কুলে আসা-যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেটকারও চেয়েছেন। দুদকের ওই পরিচালক ঘুষের টাকা ব্যাংকে বেনামি অ্যাকাউন্টে রাখার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজান।
এদিকে ডিআইজির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে দুদকের অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির বলেন, ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের রিপোর্ট আনুমানিক ১৫ দিন আগে জমা দিয়েছি।