পবিত্র রমজান মাসেও প্রকাশ্যে চলছে জুয়া খেলা!

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: বগুড়ার ধুনটে সংযমের মাস রমজানেও প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটির দিদারপাড়ায় প্রায় তিনমাস ধরে এ জুয়ার আসর চলছে।

জুয়া পরিচালনাকারী এবং এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালানো হচ্ছে জুয়া খেলা। আর এ কারণেই জুয়ার আসর বন্ধ করতে পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয় না।

ধুনটের এলাঙ্গী ইউপির রাঙ্গামাটি গ্রামের দিদারপাড়ায় প্রায় তিন মাস ধরে এ জুয়া খেলা চলছে। সাত সদস্যের একটি দল নিয়ন্ত্রণ করেন এই জুয়ার বোর্ড। ধুনটের রত্নীপাড়ায় বাঁশবাগানের নীচে তাবু টাঙ্গিয়ে জমজমাট জুয়ার আসর চলে।

ওই জুয়ার বোর্ডটি স্থানান্তর করে এখন রাঙ্গামাটি দিদারপাড়ায় নেয়া হয়েছে। এই জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটি গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু জুয়া পরিচালনা কমিটিকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা। এ কারণে জুয়ার বিপক্ষে মুখ খুলতেও ভয় পান অনেকে।

তবে গ্রামবাসী বিভিন্নভাবে জুয়া বন্ধে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু জুয়ার আসর বন্ধ করতে পুলিশ কোন উদ্যোগ নেয়নি। তবে ১ মে ইউএনও রাজিয়া সুলতানা ওই জুয়ার আসরে হানা দেন। ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা বোর্ড থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। কিন্তু ইউএনও ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর পুনরায় জুয়ার আসর শুরু হয়।

পবিত্র রমজান মাসেও প্রকাশ্যে চলছে জুয়া খেলা। এলাকার মুসল্লিরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। তারা জুয়া বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।

জুয়ার বোর্ড পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই জুয়ার বোর্ড চালানো হয়। এই ম্যানেজের দায়িত্বে থাকেন আজগর আলী নামের বোর্ডের আরেক সদস্য।

আজগর আলী বলেন, সবাইকে সম্মানি দিয়ে খেলা চালাতে হয়। পুলিশকেও মাসিক চুক্তিতে টাকা দিতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের টাকা প্রদানের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা।

এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, রাঙ্গামাটি দিদারপাড়ায় জুয়া খেলার বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। স্থানীয় একজন নেতার কিছু কর্মীরা নিজেরা খেলেন। সেখানে সরাসরি যাওয়া হয়নি। তবে ওই নেতাকে খেলা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আর পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টি সত্য নয়।

ইউএনও রাজিয়া সুলতানা বলেন, ১ মে ওই পথে আসার সময় একদল মানুষকে জুয়া খেলতে দেখি। পরে সেখানে এগিয়ে গেলে জুয়াড়িরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালায়। ওই জুয়া বন্ধ করতে পুলিশের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।