পরীক্ষা না পিছিয়ে নির্বাচন এগিয়ে আনলে ভালো হতো : তাপস

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

ধলাই ডেস্ক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষা না পিছিয়ে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনলে ভালো হতো। কারণ পরীক্ষার তারিখ পেছানোয় অনেকের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটেছে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমাকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিন, আমি আগামী পাঁচ বছর আপনাদের দেব।

রোববার (১৯জানুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলের নটরডেম কলেজ এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে তাপস এসব কথা বলেন। আরামবাগ, মতিঝিল অফিস পাড়া ও ফকিরাপুল এলাকায় প্রচারণায় নিজে উপস্থিত থেকে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান। এ সময় নিজে ফুটপাত, দোকান ও অফিসে ঢুকে লিফলেট ধরিয়ে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান শেখ ফজলে নূর তাপস। তাপস নটর ডেম কলেজের পাশে আসার আগেই সকাল ১০টা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘তাপস, তাপস’ স্লোগানে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। তবে

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নগরীর যেখানেই যাচ্ছি নগরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি। আমরা অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হতে চাই। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদেরকে ঢাকাবাসীর ঘরে ঘরে যেতে হবে এবং ভোট প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে আমরা প্রচারণা চালাতে পারলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নৌকা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে আপনারা প্রতারণা চালাবেন। কোনো পথচারী বা কোনো মানুষের বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কাজ করবেন না। তিনি বলেন, আমরা যত বেশি মানুষের দোরগোড়ায় যেতে পারব আমাদের ভোটের ব্যবধান কত বৃদ্ধি পাবে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে নগরবাসীকে সুন্দর একটি মেট্রোপলিটন শহর উপহার দেবো। একই সঙ্গে নগরবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমাকে আপনারা ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিন, আমি আপনাদের আগামী পাঁচ বছর সময় দেব এবং আপনাদের সঙ্গে থাকব। নগরবাসীর কোথায় কী সমস্যা রয়েছে সেগুলো আমি দেখব।

তাপস বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নগরবাসী যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়ে না দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার তারিখ ঠিক রেখে যদি নির্বাচন এগিয়ে আনতে পারতেন তাহলে ভালো হতো। কারণ পরীক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই তাদের প্রস্তুতি এবং মন-মানসিকতা ঠিক করেছেন ১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা দেয়ার জন্য। পরীক্ষা পেছানোর কারণে তাদের প্রস্তুতি মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমাদের আমাদের মানতে হবে। কারণ তারিখ নির্ধারণ করার এখতিয়ার শুধু মাত্র নির্বাচন কমিশনের।