
ধলাই ডেস্ক: শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চে এসে পৌঁছান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এরপরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনে উদ্বোধন করেন তিনি।
এটি সম্মেলনের প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ।
শনিবার সকাল থেকে দেখা যায়, সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর ও চারপাশ সেজেছে বর্ণিল সাজে। নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুনসহ বিভিন্ন রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫ থানা ও ১০০ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর কমিটি হয়েছে। প্রতিটি থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হবে কাউন্সিলর। ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম লিখে জমা দেবে থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে। তাদের মধ্যে থেকে সমন্বয় করে নির্বাচন করবে কে হবে কাউন্সিল আর কে হবে ডেলিগেট।
এরইমধ্যে কৃষকলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে। সব সংগঠনেই এসেছে নতুন নেতৃত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় মহানগর রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ-এমন আভাস দিয়েছেন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাদের ক্লিন ইমেজ, কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নেই, সাবেক ছাত্রনেতা তাদেরকেই এবার দলের সভাপতি মূল্যায়ন করবেন।
২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। এর তিন বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা হয়।