কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্বামী ছেড়ে এক সন্তানের জননী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা এক গৃহবধূকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের পালপাড়া এলাকার মদুলন পাল দুলুর (৩০) স্ত্রী তুষ্টি রানী পাল (২৩) শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাসিন্দা খালাতো ভাই প্রেমিক সংগ্রাম পাল (২৭) এর সাথে গত রোববার (১৮ আগষ্ট) রাত ১০টায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে ধাওয়া করলে প্রেমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গৃহবধূ ও প্রেমিকের বন্ধুকে আটক করে স্থানীয় জনতা ।
স্থানীয় জনতা উক্ত বিষয়টি মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আসিদ আলী ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সুরমান আলীকে অবহিত করেন। মো: আসিদ আলী ও ইউপি সদস্য সুরমান আলী ওই দিন রাত ১১ টায় সরেজমিনে এসে বিষয়টি কমলগঞ্জ থানায় অবহিত করলে গৃহবধূসহ প্রেমিকের বন্ধুকে নিয়ে যায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।
এক সন্তানের জননী গৃহবধূ তুষ্টি রানীর কাছ থেকে জানা যায়, বিয়ের পূর্ব থেকেই প্রেমিক খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিকার বিয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী স্বামী দুলন পাল দুলু ভানুগাছ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে গেলে, খালাতো ভাইয়ের পরিচয়ে প্রেমিক সংগ্রাম গৃহবধূ প্রেমিকার স্বামীর বাড়িতে প্রায়ই আসে। নির্জন একা বাড়িতে স্বামীর অজান্তেই চলে অনৈতিক সকল কর্মকান্ড। প্রায় দুই বছর পর এই অনৈতিক প্রেমের সমাধি ঘটে স্থানীয় জনতার হাতে। দুলন পালের প্রথম স্ত্রী সন্তান প্রসবের সময় মারা গেলে এক সন্তানের জনক দুলন পাল দুলু নিজের অজান্তেই অন্যজনের প্রেমিকা কিশোরী তুষ্টি রানী পালকে বিয়ে করেন। তার ওই বাস্তব প্রমাণ স্বামী সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়া।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই চম্পক ধাম জনান, গৃহবধূ ও প্রেমিকের বন্ধুকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সোমবার গৃহবধূকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী তাকে আর গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।