ফলোআপ: কমলগঞ্জের খাল-বিল থেকে জব্দ হওয়া ২৬০টি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হলো

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্ট: সম্প্রতি টানা ভারী বৃষ্টির কারণে কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে হাওর, খাল-বিল ও ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ জলাবদ্ধতায় পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের দেশীয় মাছ। এ সুযোগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরসহ খাল-বিল ও জলাশয় সমুহে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব কারেন্ট জালে আটকে ছোট-বড় মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খাল-বিলে পানি আসার সাথে সাথেই পুরো এলাকা কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। আকস্মিক অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমী আক্তার ও মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল্ল্যা পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরের ধোপাটিলা গ্রাম এলাকা থেকে ২৬০টি কারেন্ট জাল জব্দ করেন। এসময় কারেন্ট জাল স্থাপনকারী কাউকে না পেলেও ঘটনাস্থলেই আগুন দিয়ে পুড়ানো হয় জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলি। জানা যায়, প্লাবনের পানিতে এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মাছ শিকারীরা দেদারসে হাওর ও জলাশয় জুড়ে কারেন্ট জাল স্থাপন করে মাছ শিকার করছেন। কেওলার হাওর, মকাবিল, কেছুলুটি, সতিঝিরগ্রাম, ধুপাটিলা, রুপষপুরসহ প্লাবিত পুরো এলাকায় হাজারো কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। জালে আটকে মা মাছ থেকে শুরু করে ছোটবড় মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া, কাঁকড়াসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। ফলে জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনছে। স্কুল শিক্ষক জমসেদ আলী, সমাজকর্মী ফটিকুল ইসলাম ও তোয়াবুর রহমান বলেন, প্রতি বছর এভাবে জলাশয় সমুহে ঘনঘনভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পোতা হলেও মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়ানো হলেও পরবর্তীতে আবারও কারেন্ট জাল স্থাপন করা হয়। তাছাড়া হাটবাজারে প্রকাশ্যে এসব কারেন্ট জাল বিক্রি করা হচ্ছে সেখানেও অভিযান পরিচালনার দাবি জানান তারা। অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সুযোগে সুযোগ সন্ধানী মাছ শিকারীরা এ কাজ করার সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্ল্যা বলেন, মঙ্গলবার ১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমী আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশী সহায়তায় কেওলার হাওর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় জব্দকৃত ২৬০টি কারেন্ট জাল প্রকাশ্যে পুড়ানো হয়েছে। কমলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমী আক্তার অভিযান পরিচালনা করে দুই শতাধিক কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়ানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।