ফলো আপ: কমলগঞ্জে অটোচালককে কুপিয়ে হত্যা এক আসামী গ্রেফতার ॥ নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমবেদনা

প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ছুরিকাঘাতে সিএনজি অটো চালক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জলিল মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় একজন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলার আলীনগর বস্তির মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নিহত সিএনজি অটোচালক আব্দুল জলিল এর বাড়িতে গিয়ে পরিবার সদস্যদেরকে শান্তনা দেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। এ সময় তিনি পরিবার সদস্যদের শান্তনা দেন এবং নিহতের পিতা মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া ওরফে লাল মিয়ার হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ ইয়ারদৌস হাসান, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল চেয়ারম্যান প্রমুখ।

এ সময় উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিএনজি অটোচালককে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান।

মামলার তদন্তকারী অফিসার কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে এলাহী বলেন, সিএনজি অটোচালক হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে আলম হোসেন (৩৫) কে গত শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ভানুগাছ রেলস্টেশন এলাকা থেকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রকাশ্যে মানুষজনের সামনে নির্মমভাবে ছুিরকাঘাত করে সিএনজি অটো চালককে খুন করার ঘটনায় গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিন ঘটনাস্থল শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া নিহতের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জাকারিয়া বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আসামী যতবড় প্রভাবশালী হউক না কেন পুলিশ থাকে গ্রেফতার করবে। সাধারন মানুষে উদ্যেশ্যে স্বজনদের আশ^াস প্রদান করে বলেন, দ্রুত সময়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। এ সময় পুলিশ সুপার তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা নিহত পরিবার সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, গত শুক্রবার রাতে নিহত সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়ার বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় আসামী আলম হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফিকে। তার সাথে পর্যায়ক্রমে রয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফির ছোট ভাই জেলা যুবদলের নেতা গোলাম রব্বানী তৈমুর, তার ভাই কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিত, সাইফুর রহমান ও আলম হোসেন। এছাড়া আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে।