ডেস্ক নিউজ: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপকের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টা থেকে ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে নারী চা শ্রমিকরা। ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় টানা ৩ ঘন্টা সামাজিক বৈঠকের পর চা বাগান ও শ্রমিকের কল্যাণে চা শ্রমিকদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখার আশ্বাসে সমস্যার সমাধান হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শ্রমকিরা ১২টার পর থেকে কাজে যোগ দেয়। অভিযুক্ত চা বাগান ব্যবস্থাপকের অপসারণের দাবিতে ধলই চা বাগানের ৫ শতাধিক চা শ্রমিক গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৮টায় কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিল। শুক্রবার চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সামাজিক বৈঠকে সমাধানের আশ্বাসে ১২টার পর নারী শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। আর পুরুষ চা শ্রমিকরা ধলই চা বাগার কারখানা প্রাঙ্গনে ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কমুার কানুর মধ্যস্থতায় সামাজিক বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে ধলই চা বাগানের ও সাধারণ চা শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমকিদের সাথে ব্যবস্থাপক সু-সম্পর্ক রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। চা শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবার মাণ উন্নয়ন করা হবে। তাছাড়া সাধারণ চা শ্রমিকদের কোনভাবে অপদস্ত না করারও আশ্বাস প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত যা হয়েছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু ধলই ভ্যালির( অঞ্চলের) সহ সভাপতি গায়ত্রী রাজভর, চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, ধলই চা বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক সেতু রায়সহ নেতৃবৃন্দরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, কাল রাতেই টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে বাগাণে, বড় ম্যানেজারের পক্ষ থেকে বাগানের দু’জন স্টাফের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা দেয়া হয়েছে শ্রমিক নেতাদের ম্যানেজ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুর হক বলেন, কর্মবিরতির ঘটনা তিনি জানতেন না। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনে ধলই চা বাগান ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলে দ্রুত সামাজিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন।