
ধলাই ডেস্ক: বাংলাদেশ হাইকমিশন ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (এবিবিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সিডনিতে ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন’ এর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনা ও বাধাসমূহ চিহ্নিত করা এবং তা দূরীকরণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সিডনির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রথম বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি রাখার বিষয়টি মাথায় রেখে বস্ত্রশিল্প, কৃষিপণ্য ছাড়াও শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং আর্থিক সেবা খাতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিল্পপতি, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সফিউর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকের উত্থানের ওপর আলোকপাত করে আর্থিক সাহায্যের বাইরে বাণিজ্যিক লেনদেন, অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব এবং দ্বি-পাক্ষিক সেক্টরাল সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সম্মেলনের প্রথম দিনে টেক্সাটাইল, কৃষিপণ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চামড়াজাত পণ্যের ওপর পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। টেক্সাটাইল সেশনে এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশ যে সকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বাংলাদেশ নতুন টেকনোলজি, অটোমেশন, পণ্য বহুমুখীকরণের প্রতি গুরুত্বারোপের সুপারিশ করা হয়।
কৃষিবিষয়ক সেশনে নতুন কৃষি পণ্য চিহ্নিতকরণ, বাজারজাতকরণ যা দুদেশকে লাভবান করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচকরা কৃষি খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেশনে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কারণে উচ্চমানসম্পন্ন কয়লা এবং এলএনজি প্রয়োজন হবে যা অস্ট্রেলিয়া সরবরাহ করতে পারবে। বাংলাদেশে খনিজ পদার্থ আহরণে অস্ট্রেয়ার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ওষুধ শিল্প ও চামড়া শিল্প সেশনে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
১৫ নভেম্বর সম্মেলনের শেষ দিনে বিনিয়োগ, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক বাধা দূরীকরণের ওপর তিনটি পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হবে।