ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ২টা ১০ মিনিটের কিছু আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে তার তৃতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ঢাকা দক্ষিণের মেয়রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে প্রবীণ এ আইনজীবীকে।

এর আগে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের আরো দুটি জানাজা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে প্রথম জানাজা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম। জানাজা শেষে পল্টনের নিজ বাসায় মরদেহ নেয়া হয়।

কিছু সময় পল্টনের বাসায় মরদেহ রাখার পর নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম এ আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি। তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ১৯ অক্টোবর তার করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা।