ভাসানচরে পৌঁছাল ১৬৪২ রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে সাতটি জাহাজে ভাসানচরে পৌঁছেছে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তারা ভাসানচরে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে বাসে এসব রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবে।

ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য এসব রোহিঙ্গাদের বুধবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে কয়েকটি বাস জড়ো করা হয়। বৃহস্পতিবার সেসব বাসে পাঁচটি কনভয়ে উখিয়া থেকে তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়।

রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর রাতে তাদের বিএএফ জহুর ঘাঁটির বিএএফ শাহিন স্কুল ও কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।

শুক্রবার সকালে তাদের নৌবাহিনীর ছয়টি এবং সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে ভাসানচরে নেয়ার জন্য তোলা হয়। জাহাজের ডেকে বেঞ্চ বসিয়ে সবার বসার ব্যবস্থা করা হয়।

সকাল সোয়া ১০টার পর চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি জেটি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম।

নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের ১০১৯টি লাগেজ বৃহস্পতিবারই ভাসানচরে পৌঁছানো হয়েছিল। শুক্রবার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের আরো সাতটি জাহাজ কনভয়ের সঙ্গে ভাসানচরে যায়।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আগেই ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসানচরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…