মনভোলানো দৃষ্টিনন্দন আলহাজ্ব কেরামত আলী জামে মসজিদ

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

খালিদ সাইফুল্লাহ্: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলাধীন কেরামতনগরে ষাটের দশকে তিন গম্ভুজবিশিষ্ট আকর্ষণীয় ‘আলহাজ্ব কেরামত আলী জামে মসজিদ’টি নির্মাণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানশীল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দানবীর আলহাজ্ব কেরামত আলী।

মসজিদের মধ্যখানে একটি বড় গম্ভুজ ও দু’পাশে অপেক্ষাকৃত দুটি ছোট গম্ভুজ এবং চারপাশের চার কোণায় চারটি লম্বাকৃতির সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মূল্যবান ইরানী পাথর দ্বারা নির্মিত মসজিদের গম্বুজের কারুকাজ কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেলেও অত্যাধুনিক মোজাইক ও মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত মসজিদের ভেতর ও বাইরের বেশিরভাগ কারুকাজ-নকশা এখনও বর্তমান । এছাড়াও মসজিদ সংলগ্ন ইমাম-মুয়াজ্জিনদের থাকার জন্য মনোরম কোয়ার্টার, বড় পুকুর ঘাট ও অজুখানা বিদ্যমান রয়েছে।

মুঘল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত এমন আকর্ষণীয় মনোমুগ্ধকর ও ব্যয়বহুল নির্মাণশৈলী মসজিদের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি একক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট প্রকাশ করে। এই মসজিদে জুম’আর দিন শতশত মানুষ সালাত আদায় করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। আবার অনেকে মসজিদটির সৌন্দর্য উপভোগ করতেও মাঝেমধ্যে এখানে হাজির হন। এই মসজিদে একসাথে সালাত আদায় করতে পারেন সহস্রাধিক মানুষ । এমন ব্যতিক্রমধর্মী দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকীর্তি নিঃসন্দেহে দর্শনীয় স্থান হিসেবে তালিকাভুক্তির দাবি রাখে।

উল্লেখ্য যে, অবিভক্ত পাকিস্তানের গর্ভণর মোনায়েম খান এই মসজিদে সালাত পড়তে এসে এর স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী দেখে এতোটাই পছন্দ করেন যে, ঢাকার এক অভিজাত এলাকায় এই ধরনের একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। আমাদের পরিবারের কৃতিপুরুষ মসজিদটির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতাসহ মসজিদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহ্ ক্ষমা করে দিন আমীন।

লিখেছেনঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ এলএলবি (অনার্স), এলএলএম কবি ও শিক্ষানবিশ আইনজীবি।