মাদক-অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির- ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের মামলায় মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছেন ডিবি পুলিশ।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ চার্জশিট দাখিল করেন।

বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মাদক মামলায় ১৭ ফেব্রুয়ারি ও অস্ত্র আইনের মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ২৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

অন্যদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলামের আদালত অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় গোল্ডেন মনিরের তিনদিন করে মোট ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে দুই মামলার রিমান্ড একই সঙ্গে চলবে বলে জানান বিচারক। এছাড়া ঢাকা মহানগর মো. মামুনুর রশিদের আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকের আদালত অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মনিরের সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এই রিমান্ড একই সঙ্গে কার্যকর করার নির্দেশ দেন আদালত। একই দিন ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমানের আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গোল্ডেন মনিরের আরো চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২০ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওই সময় তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় দশটি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা দায়ের হয়।