ডেস্ক রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসীন মিয়া মধুর বাসা থেকে শুক্রবার দুপুরে একটি কালনাগিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলের পরিচালক সজল দেব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে।
এর আগে সিলেটের চা বাগানসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন চা বাগানে সাপটির দেখা মিললেও বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। তবে গভীর বনে এদের দেখা মেলে। এদের দৈর্ঘ্য ১০০ থেকে ১৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। মাথা লম্বা ও চ্যাপ্টা এবং মুখের সামনের দিকে চৌকোনা আকৃতির। এদের দেহের রঙ পিঠের দিকে সবুজ। আবার হালকা সবুজ রঙের এবং কালচে ডোরাযুক্ত হয়। ঘাড় থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত মেরুদণ্ড বরাবর কমলা রঙের এবং লাল দাগ দেখা যায়।
এরা সাধারণত পোকামাকড়, টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ ও ছোট পাখি ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। জুন থেকে জুলাই মাস এদের প্রজনন মৌসুম। প্রজননের সময়ে এরা সাধারণত ৬ থেকে ১২টি ডিম দেয়।
‘সাপ বেঁচে থাকুক আমাদের প্রয়োজনে’ স্লোগানে বাংলাদেশে সাপের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে দেশের আনাচে-কানাচে কাজ করছেন কামরুজ্জামান বাবু এবং প্রসেনজিৎ দেব বর্মা।
তারা বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সাপকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু জীব বৈচিত্র্যের এ গুরুত্বপূর্ণ সাপটি নিয়ে রয়েছে আমাদের অজ্ঞতা। নাগ-নাগিনী বলতে কোনো সাপ নেই, এই সুন্দরী সাপকেই বলা হয় নাগ-নাগিনী। এদের বিষ নেই। কুসংস্কার ও বিভিন্ন সিনেমায় সাপটিকে ভুলভাবে উপস্থাপনের কারণে মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মেছে। সাপটিকে দেখলেই মেরে ফেলছে মানুষ। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সাপটি। যদিও মাঝে মধ্যে চা বাগানে সাপটিকে দেখা যায়।