সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেটের পাথর রাজ্য অধ্যূষিত সীমান্ত জনপদের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়বহুল সড়কটি জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উদ্বোধন করেন তিনি। যার পূর্বের নাম ছিল সিলেট (ওসমানী বিমানবন্দর বাইপাস)-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক।

 

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একযোগে সিলেটের ৪টিসহ সারাদেশের ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

এ উপলক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ইয়াকুব আলী, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দীন রেনু, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিবুন্নাহার বেগম, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান, উপজেলা আইসিটি অফিসার নাঈম হাসান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সেলিনা বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিবলী আতিকা তিন্নী, কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মৃণাল কান্তি চৌধুরী, ইসলামপুর পুর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম, উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার ফয়জুর রহমান, দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ, ইছাকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু, তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আকবর রেদওয়ান মনা প্রমুখ।
এদিকে, টেকসইওমজবুত রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার জনসাধারণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, অতীতে জেলা শহরে পৌছতে ভাঙাচুরা রাস্তায় ৩/৫ ঘণ্টা লাগতো। এখন সড়কটি উন্নত হওয়াতে মাত্র ৪০ মিনিটেই জেলা শহরে পৌছা যায়। এতে সময় ও ভোগান্তি দুটিই কমে গেছে।

 

প্রসঙ্গত, একযুগের ও বেশি সময় ধরে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কটি খানা খন্দকে নাজুক পরিস্থিতিতে জনচলালল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর বারংবার দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনকৃত এ মহাসড়কটি ২০১৬ সালের ৩১ মে সড়ক থেকে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি সাক্ষর করে। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। শুরুতে নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ দু’দফা বাড়িয়ে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।