কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মেয়েটির নাম রুবিনা বেগম। তার বাড়ী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি গ্রামে। হতদরিদ্র মা বাবার সাত ছেলেমেয়ের ৪র্থ সন্তান রুবিনার বিয়ে হয় আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে ইসলাম মিয়ার ছেলে ফুল মিয়ার সাথে। দিনমজুরী করে ফুল মিয়ার সংসার চলে।
বিয়ের সাত মাস পর আদম ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামালের মাধ্যমে এ বছরের ২৮ এপ্রিল সুখের আশায় পাড়ি জমায় সৌদি আরবে। অবশ্য মোস্তফা কামালকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি। পাসপোর্ট ভিসা, বিমানের টিকেট সবকিছুই তিনি করে দিয়েছেন। সেখানে গৃহকর্মীর কাজ করবে রুবিনা। এরকমই কথা ছিলো। যাওয়ার পাঁচ দিন পর মা বাবার কাছে ফোন দিয়ে সে বলেছে ভালো আছে, সমস্যা নেই।
কিন্তু পনেরো দিন পর ফোন করে রুবিনা বলেছে সেখানে দালাল তাকে গৃহকর্মীর কাজ না দিয়ে বাইরে বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক কাজে যেতে বাধ্য করছে। সে তাদের কথা না মানায় দালাল তাকে নানাভাবে শারিরকি নির্যাতন করতে থাকে।রুবিনার বাবা সিদ্দেক আলী ও স্বামী ফুল মিয়া জানান, তারা বারবার মোস্তফা কামালের কাছে রুবিনার খবর নিতে গিয়েছেন। তিন বলেছেন সে সৌদির জেলে আছে। পরে তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আনা হয় বলে মোস্তফা কামাল জানান। তবে কোন এক মাধ্যমে জানা যায় বর্তমানে রুবিনা দাম্মাামের হাপরবাতেন সদর থানায় রয়েছে। নির্যাতনে তার শারিরিক অবস্থাও খুব খারাপ। দেশে তার স্বামী,মা বাবা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে তারা ব্যাকুল।
আদমব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের কাছে তারা বারবার ধর্ণা দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে বলেন, তোমরা আমার কি করবে ? তার স্বামীকে বলেছেন, ২৫ হাজার টাকা খরছ দিলে রুবিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে। কিন্তু এখন আর খবর নেই। মেয়ের জন্য মাবাবার আহাজারি থামছেই না। এ ব্যাপারে সৌদিআরবে বাংলাদেশী দুতাবাস ও প্রবাসী সহৃদয় বাঙালীদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
তবে আদমব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, রুবিনাকে খুব দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া করছি।