স্বর্ণের সাড়ে ৪, রুপার সাড়ে ৬ শতাংশ দাম কমেছে

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে গত সপ্তাহ পার করছে স্বর্ণ ও রুপা। রেকর্ড দরপতনের পর ঘটেছে বড় উত্থানও। এরপরও সপ্তাহের শেষে স্বর্ণের দাম প্রায় সাড়ে চার শতাংশ এবং রুপার দাম সাড়ে ছয় শতাংশের বেশি কমেছে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতন শুরু হয় গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস (৭ আগস্ট) থেকে। অবশ্য এ দরপতন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৫ ডলারে ওঠে।

বিশ্ববাজারে এই রেকর্ড দরপতনের প্রেক্ষিতে বুধবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভরিতে সাড়ে তিনহাজার টাকা কমানো হয় স্বর্ণে র দাম।

অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর আগেই বিশ্ববাজারে আবার দাম বাড়ার আভাস দেখা দেয়। বুধবার লেনদেনের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২১ ডলার কমে গেলেও, লেনদেনের পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩০ ডলার বেড়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবারও স্বর্ণের দাম বাড়ে। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৬০ ডলারে উঠে আসে।

তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার আবারও দরপতন হয়। এ দিন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৬ দশমিক ২০ ডলার কমে এক হাজার ৯৪৩ দশমিক ৬৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘এমন অস্থিরতার পর গ্রাহকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিশ্ববাজারের সঙ্গে আপডেট থাকতে চাই। আমরা পরিস্থিতি দেখব। যদি বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আবার দুই হাজার ডলারে ওঠে, আমরাও দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেব। তবে দুই হাজার ডলারের নিচে থাকলে আমাদের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।’

এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ব্যাপক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে গেছে রুপার দামও। স্বর্ণের পাশাপাশি গত মঙ্গলবার বড় দরপতন হয় রুপার দামে। একদিনে রুপার দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রুপার দাম কিছুটা বাড়ে।

অবশ্য শুক্রবার আবার দরপতন হয়। এ দিন প্রতি আউন্স রুপার দাম এক দশমিক ১৯ ডলার বা ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে ২৬ দশমিক ৪২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে রুপার দাম কমেছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সূত্র: জাগো নিউজ…