১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২১
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। প্রথম দফায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

লকডাউন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ কমানোর জন্য গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেটির আলোকেই ৪ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপন আমরা দিয়েছি। যাতে মানুষ ঘরের বাইরে না আসে। তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, আরও কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। সেই আলোকেই এখন পর্যন্ত চলছে।’

তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কথা চিন্তা-ভাবনা করে গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেছেন, আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ১৪ তারিখ থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দিতে যাচ্ছি আমরা।’

‘জরুরি সেবা ছাড়া, সব ধরণের অফিস আদালত, গণপরিবহন, দোকানপাট, মার্কেট সব কিছুই বন্ধ থাকবে। সবকিছু কঠোর লকডাউনের আওতাধীন থাকবে। শিল্প-কারখানাগুলোও বন্ধ থাকবে। মানুষ যে যেখানে আছেন, সেখনেই থাকবেন। এটা কঠোর লকডাউন হবে’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগের সিদ্ধান্ত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল আছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে একটি নির্দেশনা আছে। নতুন সিদ্ধান্ত ১৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে দেব, সেখানে বিস্তারিত থাকবে। রোববারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হতে পারে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন বা কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। বিধি-নিষেধের সময়ে অবশ্যই পালনীয় ১১টি নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনি জারি করা হয়।

তবে বিধি-নিষেধ শুরুর পর গণপরিবহন না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা। বিভিন্ন স্থানে তারা বিক্ষোভ করেন। একইসঙ্গে দোকান ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতেও আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরা।

দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার (৭ এপ্রিল) নতুন সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় তারা। তবে শপিংমল ও দোকান খোলার দাবিতে ব্যবসায়ীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

শেষে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমলও খোলা রাখা যাবে বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শপিংমল ও দোকানপাটও খোলা রয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ…