কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: ভারতের ত্রিপুরা জেলার লক্ষিপুরের ওলিয়ে কামিল, সুফি সাধক মনমি কবি হযরত মাওলানা শাহ্ ইয়াছিন (র:) এর একমাত্র খলিফা হযরত শাহ আজম (র:) এর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ২৯ শ্রাবণ ১৫ আকষ্ট রোজ- বৃহস্পতিবার ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড রামপাশা গ্রামে নিজ বাড়িস্থিত ওলিয়ে কামিলের মাজার শরীফে এক পবিত্র ওরশ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
হযরত শাহ আজম (র:) ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার ঐতিহাসিব গয়ঘড় খুজার মসজিদের সংস্কারক, ত্রৈলোক্য বিজয় গ্রামে পুরাতন মসজিদের মিনার নির্মাণ নালিহুরী গ্রামের পুরাতন মসজিদের গম্ভুজ নির্মাণ করেন। খালিস পুর গ্রামে আড়াই কেদার জমিতে বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী (র:) নামানুসারে তরীকায়ে কাদরিয়া খানকা প্রতিষ্ঠা করেন।
সরাপুর গ্রামে ৩৬০ আউলিয়া অন্যতম সফর সংঙ্গী হযরত শাহ ফাতাহ (র:) মাজার শরীফ পাকা ও পাশাপাশি ফুরকানিয়া মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। মৌলভীবাজার জেলা ছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, খানকাহ, রাস্তা পাকা করন, পুকুর, সহ বহুবিধ দ্বীনি খেদমত আনজাম দেন হযরত শাহ আজম রহ.।
বর্তমানে ওলিয়ে কামিলের নামানুসারে মৌলভীবাজার জেলা সদরে গয়ঘড় হযরত শাহ আজম রহ. হাফিজিয়া মাদরাসা, কমলগঞ্জে হযরত শাহ আজম রহ. দরগাহ্ জামে মসজিদ, আদমপুর ইউনিয়নে একটি রাস্তা ওলির নামানুসারে, ওলিয়ে কামিলের মাজারের প্বার্শে নির্মানাধীন একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও অবর্তমানবতার সেবা হযরত শাহ আজম রহ দরগাহ্ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঘর নির্মাণ, আর্থিক অনুদান গরিবদের কে সাহায্য করা হয়।
ওলি কামিলের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রবিত্র কোরআন খতম, খতমে খাজগান, ওলির জিবনী আলোচনা, জিকির আজকার, মিলাদ মাহফিল ও শেষ মোনাজাত। শপষ মোনাজাত পরিচালনা করবেন হজরত শাহ আজম রহ. সুযোগ্য পুত্র, উস্তাদুল উলামা,বর্তমান পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ মোশাররফ আলী সাহেব।
ওলিয়ে কামিলের মৃত্যুবার্ষিকীতে যোগদান করার জন্য তাঁর আশিকান, ভক্ত বৃন্দকে দাওয়াত করা যাইতছে। দাওয়াত ক্রমে মাজার কমিটির মোত্তাওয়াল্লাী।