ডেস্ক রিপোর্ট: শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, প্রশাসনিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সেক্টরে আলাদা আলাদা কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উদযাপন হবে বাঙালির জীবনে শত বছরের এক ঐতিহাসিক ইভেন্ট।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পালন করবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। অনুরূপভাবে যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোও পৃথকভাবে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পৃথক কর্মসূচি পালিত হবে।
অনুরূপভাবে রাষ্ট্রপরিচালনাকালে রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমগুলোকে সমন্বয় করে অ্যালবাম তৈরি করা হবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারও কোনো স্মৃতি থাকলে সেগুলো লিখিত আকারে সমন্বয় করে প্রকাশনা তৈরি করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সোমবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত এ বৈঠকটি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করবে। এ উপলক্ষে সেমিনার, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বিভিন্ন সংস্থা পরিদর্শনের অ্যালবাম তৈরি, নৌ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সংকলন, বিভিন্ন জেলা ও জাতীয়ভাবে নৌকা বাইচের আয়োজন এবং নতুন চারটি মেরিন একাডেমির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রতিমাসে একটি করে অনুষ্ঠান করবে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা যারা বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নৌ ভ্রমণ করেছেন সেগুলোর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বতন্ত্র স্বাধীন সত্তা লাভ করেছি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করবে। এ জন্য বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন করবো। অন্য মন্ত্রণালয়ও এভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়েও এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় স্ব-উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা জনবান্ধব ও আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ, গৃহহীনদের গুচ্ছ-গ্রামের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং ব্যক্তি বা পরিবার প্রতি জমির সর্বোচ্চ সীমা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘা পর্যন্ত নির্ধারণ করা বঙ্গবন্ধুর ভূমি সম্পর্কিত গৃহীত যুগান্তকারী ও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তগুলোর অন্যতম। এ ছাড়া স্বাধীনতার পরে দেশকে গড়ে তোলার জন্য যেসব পদক্ষেপ জাতির জনক গ্রহণ করেছিলেন সে বিষয়গুলো স্ব স্ব সেক্টরে তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ পালন করার ঘোষণা দেন। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে।