স্টাফ রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাতাসে পাতা নড়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘনঘন লোডশোডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। পবিত্র রমজান মাসেও চরম দুর্ভোগের মধ্যে রোজাদাররা তারাবীর নামাজ, ইফতার এবং সেহরী খেতে হচ্ছে । এই যায় এই আসে বিদ্যুতের যেন কোন ঠিক ঠিকানা থাকে না। রমজান মাস আসার আগ থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার জোনাল অফিস থেকে জানানো হয়েছিল রমজান মাসে বিদ্যুতের কোন ব্যাঘাত ঘটবেনা। নির্দ্বিধায় সেহরী, ইফতার ও তারাবীর নামাজ পড়তে বিদ্যুতের জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হবে না। রমজান শুরু হতে না হতেই কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘনঘন লোডশোডিংয়ের কারনে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ কমলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফলতিতে এমনটা হচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যাঘাত ঘটার কারনে তারাবীর নামাজ, ইফতার ও সেহরী খাওয়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । বার বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কমলগঞ্জ উপজেলা জোনাল অফিস থেকে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কোন গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলেও রিসিভ করেন না, আবার নাম্বার বিজি করে রাখেন, একেক সময় দেখা যায় ওয়েটিংয়ে, আবার হঠাৎ যখন রিসিভ করে, তখন তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় অতি অল্প সময়ের ভিতরে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ৪/৫ ঘন্টা হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় না। এমন অভিযোগ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণের। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোবারক হোসেন বলেন, বর্তমানে জ্যৈষ্ট মাস চলার কারনে যে কোন সময় ঝড় তুফান চলে আসে। সে জন্য অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে জন্য কাজ করাতে গিয়ে মেইন লাইন বন্ধ রাখতে হয়।