কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরবাজারে আগুনে পুড়ে ১ টি বসতঘর ও ১৭টি দোকানঘর ভূস্মিভুত হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজার প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি এলাকাবাসীকে অভিহিত করেন।
এলাকাবাসী মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগযোগ করতে না পেরে স্থানীয় শুকুর মোল্লা নামে এক ব্যক্তি সাইকেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেবানোর চেষ্টা করে। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেও দোকানগুলো ও বাসার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাইটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, জুয়েল মিয়া’র বসতঘর, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর ও নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমার, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় একঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আমাদের আরও কিছুক্ষণ জানালে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কমানো যেত।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল কাদির জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের পানি পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে পারিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এই অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটি তদন্তক্রমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। আগুনের সূত্রপাত ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।