স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিএনজি চালক জলিল মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে কমলগঞ্জের ভানুগাছে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে । আর এ কর্মসূচিতে পিতা হত্যার বিচারের দাবীতে অংশ নেয় নিহত জলিলের শিশু পুত্রও। এসময় সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে, এতে ভোগান্তিতে পরেন সাধারণত যাত্রীসহ পথচারিরা।
এদিকে অবরোধের সুযোগে কেউ যেন কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ছিলো কঠোর অবস্থানে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিস চৌধুরী কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ। সোমবার (২২মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ভানুগাছ চৌমুহনীতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।
শমশেরনগর -কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল সড়কে সিএনজি শ্রমিকদের প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রী ও পথচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিবহন শ্রমিক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিবহন নেতৃবৃন্ধরা। সমাবেশে বক্তরা শ্রীঘই মামলার অন্য প্রধান আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।
গতকাল রোববার (২১ মার্চ) ভোরে জলিল হত্যা মামলার এজার আসামী কমলগঞ্জ পৌর কাউন্সিলার গোলাম মুগ্নি মুহিত কে মৌলভীবাজার থেকে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এরআগে মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামী কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে আলম হোসেন (৩৫) কে আটক করে কারগারে প্রেরণ করে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ এজারভূক্ত ৫ আসামীর মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে তুচ্ছ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে ছুরিকাঘাতে সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল। এঘটনায় নিহত চালকের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সফিসহ ৫ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, ৫ আসামীর মধ্যে ২ জন আটক হয়েছে, বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।