কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধে পর্যটকের প্রবেশ ও ঘোরাঘুরি নিষেধ থাকলে ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপচেপড়া ভিড় । আগত পর্যটকরা মানেননি কোন স্বাস্থ্য বিধি ও কোন বাঁধা। ফলে মাধবপুর লেক এলাকায় ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার,সিএনজি অটো নিয়ে আসা পর্যটকদের ছিল অবাদে দল বেঁধে প্রবেশ আর ঘোরাঘুরি। একই অবস্থা ধলই চা বাগানে বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধ এলাকা, শমশেরনগর চা বাগানের লেক, শমশেরনগর চা বাগান গল্ফ মাঠ, ফুলবাড়ি চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানের পাহাড়ি উঁচু নিচু প্লান্টেশন এলাকায় সব বয়সী পর্যটকদের ঘোরাঘুরি। শুক্রবার বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকা ঘুরে দেখা যায় ,উদ্যানের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকায় ও নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্কতায় কোন পর্যটক ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যক্তিগত কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে আসা পর্যটকরা উদ্যানের বাহিরে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করে ছবি তুলেন। বেশ কয়েকটি পিকআপে মাইক লাগিয়ে নাচ গান করতে দেখা যায় কম বয়সী পর্যটকদের। এসব পর্যটকরা আবার পরবর্তীতে মাধবপুর লেকে গিয়ে ভিড় করেন। মাধবপুর চা বাগান লেক এলাকা গেলে দেখা যায়, লেকে যাবার আগে ২টি স্থানে চা বাগানে ফটক রয়েছে। ফটকে পর্যটকদের ব্যবহৃত যানবাহন আটকানোর চেষ্টা করলেও পর্যটকরা বিশেষ করে কম বয়সী পর্যটকরা কোন প্রকার বাঁধা মানছেন না। মাধবপুর চা বাগান কারখানা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে তিন দিকের উঁচু পাহাড়ি টিলা বেষ্টিত লেকে পর্যটকরা দল বেঁধে যাতায়াত করছেন। এসময় কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যটকের মুখে ছিল না কোন মাস্ক। চা বাগান সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে একবার পুলিশ এসে লেকে আসা কম বয়সী উশৃঙ্খল পর্যটকদের তাড়িয়ে দিলেও দুপুরের পর আবার কম বয়সী পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপপ্ক্ষ উপচেপড়া পর্যটকদের কাছে অনেকটা অসহায় বোধ করছেন। নারী-পুরুষ ও শিশু সম্বলিত পর্যটকরা ঈদের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে ছিলেন ব্যস্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পর্যটক বলেন, দীর্ঘদিন তারা সন্তানদের নিয়ে অনেকটা গৃহবন্ধী ছিলেন। ঈদের ছুটিতে এসব সন্তানদের অনুরোধে পরিবার সদস্যদের নিয়ে বাধ্য হয়ে মাধবপুর লেকে বেড়াতে এসেছেন। মাধবপুর লেকের পাহারাদার লক্ষী নারায়ণ বলেন, এ সময়ে লেকে প্রবেশ নিষেধ বলে আগত পর্যটকদের প্রবেশে বাঁধা দিয়ে তিনি একা তাদের আটকাতে পারছেন না। তবে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, তিনি কমলগঞ্জ থানার ওসিকে অনুরোধ করে শুক্রবার দিনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে এনেছিলেন মাধবপুর লেক এলাকায়।