কমলগঞ্জে করোনার প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম: গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ৬৬ হাজার ও এক মেট্রিন টন চাল বিতরণ
ধলাই ডেস্ক: কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নে কোভিড-১৯ অতিমারির ধকল কাটাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ১৭ জুলাই শনিবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে “করোনার প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম” বিষয়ে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ১৮ জুলাই রোববার ইউনিয়ন পরিষদে ২য় দফার ৬৬ হাজার ও এক মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতেই এসব চাল ও টাকা বিতরণ করা হয়।
১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য বিশেষ প্রণোদনার নগদ টাকা ও চাল বিতরণ না করার লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর বিশেষ প্রণোদনা হিসাবে প্রায় দেড় মাস পূর্বে প্রথম কিস্তির আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্ধ আসে। দরিদ্র লোকদের মধ্যে পাঁচশত টাকা করে বিতরণ করার কথা। বরাদ্ধের সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে চাপাচাপি করলে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তিনশত লোকের মধ্যে পাঁচশত টাকা হারে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট দুইশত লোকের মধ্যে টাকা বিতরণ না করে চেয়ারম্যান নিজের কাছে রক্ষিত রেখেছেন। দ্বিতীয় কিস্তির ৬৬ হাজার টাকা এবং এক মেট্রিক টন চাল যথাযথভাবে বরাদ্ধ হয়নি। এ বিষয়ে শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগকারী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রিপন ইসলাম ময়নুল ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সায়েক আহমদ বলেন, আমাদের অভিযোগের পর চেয়ারম্যান বিভিন্ন স্থানে গিয়ে টাকা বিতরণ করেছেন। তবে এসময়ে ট্যাগ অফিসার ছিলেন না। আজ রোববারও যেসব টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে সেখানেও ট্যাগ অফিসার ছিলেন না। আমরা অভিযোগ দিয়েছি, তাই ৬৬ হাজার ও ১ মেট্রিক টন চালের আমাদের অংশ বিতরণ করিনি।
এ ব্যাপারে পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু বলেন, করোনার প্রণোদনা বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। আজ রোববার ৬৬ হাজার টাকা ও ১ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে আনা হয়। তাছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসা ভিজিএফের চাল ৬৫৮ জন ব্যক্তির কাছে ১০ কেজি করে রোববার বিতরণ করা হয়েছে। ট্যাগ অফিসার ঈদের ছুটিতে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারঁ পরামর্শেই এসব চাল ও টাকা বিতরণ করা হয়েছে।