কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের পালিতকোনা ও ফরকানালায় কয়েক হাজার টাকা মূল্যের বাশেঁর খাঁটি অপসারণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক নেতৃত্বে অভিযানে নিষিদ্ধ এসব বাশেঁর খাঁটি জব্দ করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর কেছুলোটি, সতিঝির গ্রাম, পতনঊষারের ধুপাটিলা, মকাবিল, শ্রীসূর্য্য, হালাবাদি, মাইজগাও, পতনঊষার, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রূপষপুর, বনবিষ্ণপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় একটি অসাধু চক্র হাওর, জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ও বাশেঁর খাঁটি পুতে মাছ শিকারে তৎপর হয়ে উঠে। কারেন্ট জালে আটকা পড়ে মাছের পোনা থেকে শুরু করে মা মাছ, সাপ, ব্যাংঙ, কুচিয়াসহ বিভিন্ন ধরণের জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। অবৈধ বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করার কারণে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা ও মাছের গতি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক নেতৃত্বে রহিমপুর ইউনিয়নের পালিতকোনা ও ফরকানালায় কয়েক হাজার টাকা মূল্যের বাশেঁর খাঁটি অপসারণ করা হয়েছে।। এসময়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্ল্যাা, কমলগঞ্জ থানার এসআই তোফায়েল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় বাশেঁর খাঁটি অপসারণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত বাশেঁর খাঁটি অপসারণ করে নিলামে বিক্রি করা হয়।