কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবতী(২০)-কে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ২দিন পর বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় ধর্ষণের সাথে জড়িত সন্দেহে রাশীদ আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। নির্যাতিত যুবতী মৌলভীবাজার ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে। গত সোমবার (২১ ফেব্রæয়ারি) বিকাল ৫টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালীঘাট এলাকায় ঘটলেও ২৩ ফেব্রæয়ারি বুধবার বিকালে মৌখিক অভিযোগে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষণের সাথে জড়িত রাশিদ আলীকে বাড়ি থেকে আটক করেছে। আটক রশীদ আলী আদমপুরের বনগাঁও গ্রামের বারাম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের বারাম মিয়া পুত্র রাশীদ আলী প্রতিদিন মতো কেওয়ালীঘাট এলাকার নিজ ক্ষেতে কাজ করছিল। তখন ওই এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ছিল কেওয়ালীঘাট গ্রামের মৃত মোতালিব মিয়ার বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী মেয়ে (২০)। একা পেয়ে রাশীদ মিয়া ফুসলিয়ে বাঁশ ঝাড়ের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ হয়। পরে রাশীদের পরিবারসহ স্থানীয় প্রভাশালী মহল বিষয়টি দেখে দিবে বলে সময়ক্ষেপন করে। বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য মৌলবীবাজার ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মেয়েটি। ধর্ষণের বিষয়ে বুধবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানাকে মৌখিক অভিযোগ দিলে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক বিজয় দেবনাথের নেতৃত্বে কাঠ ব্যবসায়ী সেজে অভিযান চালিয় বনগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অভিযুক্ত রাশীদ আলী (৩৫)কে বিকালে আটক করেছে পুলিশ।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক বিজয় দেবনাথ, জানান, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রæত ধর্ষণকারীকে আটক করেছি। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষণের সাথে জড়িত রাশীদ আলীকে পুলিশ আটক করা হয়েছে। মেডিকেল রির্পোটের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।