মেহেরপুরে চা দোকানিকে হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২২

ধলাই ডেস্ক: মেহেরপুরের মুজিবনগরে চা দোকানি হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন আরো তিনজন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের আলিয়াত খাঁর ছেলে কাবিদুল খাঁ, আবু লায়েস খাঁর ছেলে জামাত আলী খাঁ ও আলিয়াত খাঁর ছেলে মফিদুল ইসলাম খাঁ।

এছাড়া একই মামলায় বাগোয়ান গ্রামের আবু লায়েস খাঁর ছেলে ছোট খোকন, আবুল খাঁর ছেলে ভরস খাঁ ও লিয়াকত খাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খালাস পেয়েছেন ওবিদ আলী, মশিউর রহমান ও তাছির।

মামলার বিবরণ দিয়ে আদালতের পিপি কাজী শহীদুল হক জানান, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি বাগোয়ান গ্রামে হাটের দিন ছিল। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একই গ্রামের জামাত আলী ও খোকার কাছে পাওনা ৪শ’ টাকা চাইতে যান রিপন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সেখান থেকে চলে যান আসামিরা। পরে হাটেই নিজের বড় ভাই লিয়াকতের চায়ের দোকানে বসেছিলেন রিপন।

কিছুক্ষণ পর ১০-১২ জন অস্ত্র নিয়ে রিপনের ওপর হামলা চালান আসামিরা। এ সময় রিপনকে বাঁচাতে আসেন লিয়াকত। একপর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে লিয়াকতের মাথায় কোপ দেন তারা। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান রিপন। পরে লিয়াকতকে বাঁচাতে এলে ছেলে ফয়সাল ও ভাই মাবুদকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে লিয়াকতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ঘটনার পরদিন মুজিবনগর থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই মোখলেছ। মামলার তদন্তভার পড়ে মুজিবনগর থানার এসআই মতিউর রহমানের ওপর। এক মাসের মধ্যে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন এসআই।