স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের ২২ তম কাত্যায়ানী পূজা গঙ্গা স্নান ও গঙ্গাদেবীর পূজার্চ্চনা পুষ্পাঞ্জলির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই মাধবপুরসহ বিভিন্ন চা বাগানে সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে বিভিন্ন মন্দিরে নাম কীর্তন শুরু হয়। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভোর রাত থেকে বিভিন্ন চা বাগানের কয়েক হাজার ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা করতে ধলাই নদীর তীরে হীরামতি এলাকায় সমবেত হয়।
স্থানীয় গঙ্গা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষীনারায়ন করি জানান, ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত পালন করেন। এই একমাস কেবলমাত্র মশলাবিহীন খাবার খেয়ে মাস পাড় করেছেন ভক্তরা।
কাত্যায়ান মাস শেষে নদী তীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে চন্দন, দ্বীপ, ফল, পান, নবপত্র, মালা ও ধূপ দিয়ে দেবীকে। এরপরই নদীতে স্নান করে ভিজা কাপড়ে খোদিত কাত্যায়নীর মূর্তি পূজা করেন হাজার হাজার চা শ্রমিক ভক্তরা ।
কাত্যায়নী পূজায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীনারায়ন সিংহ, মাধবপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সেলিমুর রহমান, ইউপি সদস্য নারায়ন রাজভর শ্রমিক নেতা সিতারাম বীন প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,সত্যনারায়ণ ভর, প্রতাপ ভর, ইন্দ্রজিৎ মুন্ডা, রাম শিং ছত্রী ও ইন্দ্রজিৎ নুনিয়া।
পরে সকল ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। ২২ বছর যাবত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে সামনে এর ব্যাপকতা আর বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় গঙ্গা পুজা উদযাপন কমিটির লোকজন।