স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি গ্রামে বিষধর সাপের ছোবলে মারা যাওয়া এক গৃহবধুকে বাঁচাতে মৃত গৃহবধুকে নিয়ে ওজা কবিরাজের বাড়ীতে দৌড়ঝাপ দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও ডাক্তার ঐ গৃহবধূকে বিকালে মৃত ঘোষনা করেছেন।
নিহতের নিকট আত্নীয় প্রদিপ সিংহ জানান, মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে হিরামতি গ্রামের বাবুল সিংহের স্ত্রী ঝর্ণা সিংহা (২৭) গরুর খাবারের জন্য বাড়ীর গোয়াল ঘরের পাশ থেকে কঁচু কাটতে যান। কঁচু কাটার সময় ঝর্ণা সিংহার ডান হাতে বিষধর সাপে ছোবল মারে। সাপে ছোবল মারার পর ঝর্ণা ঘরে এসে লোকজনকে সাপে ছোবল দেয়ার কথা বললে পরিবারের লোকজন কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে চিকিৎসার জন্য দ্রুত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালে নেয়া পর সাপেড় কামড়ের ইঞ্জেকশন দিলে ও ঝর্ণাকে বাঁচানো য়ায়নি।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও ফয়সলজ্জামান বলেন, ঝর্ণাকে হাসপাতালে আনার পর আমরা সাপের কামড়ের ইঞ্জেকশন দেই। তবে এর পূর্বে সাপের বিষ ঝর্ণার শরীরের ছড়িয়ে যাওয়ার কারনে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আমরা তাকে মৃত ঘোষনা করেছি।
এদিকে ,হাসপাতাল থেকে ঝর্ণাকে মৃত ঘোষণা দিয়ে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করলে ও পরিবারের সদস্যরা ঝর্ণার শরীর গরম থাকার কারনে তাকে সৎকার করতে না নিয়ে উপজেলা শ্রী গোবিন্দপুর চা বাগানে বসবাসকারী স্থানীয় এক ওজার (সাপুড়ের)কাছে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টায় ঝর্ণা মারা গেছে বললেও তার আত্নীয়রা তাকে বাড়ীতে নিয়ে যান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে সাত টায় নিহতের ননদ শিবলী সিনহার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমার বৌদী (ঝর্ণা) শরীর এখনও গরম আছে। সে মরেনি আমরা অন্যান্য ওজাকে খবর দিয়েছি তারা ঝাড়ফুঁক দিলে আমার বৌদী সুস্থ হয়ে উঠবে।