কমলগঞ্জের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে তেলে ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেন আটকা ॥ জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে ২৫টি তেলের ট্রাঙ্কারবাহী একটি ট্রেন এক রাত ও এক দিন আটকা থাকে। তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেন শমশেরনগর স্টেশনে আটকা থাকায় শমশেরনগর-মৌলভীবাজার প্রধান সড়কটিতে সরাসরি মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কোন প্রকার যানববাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
বুধবার বেলা আড়াইটায় শমশেরনগর স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ২৫ টি তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেন শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়ক অবরোধ করে আটকা পড়ে রয়েছে। শমশেরনগর স্টেশন প্লাটফরম সংলগ্ন এলাকা দিয়ে চলে গেছে শমশেরনগর-মৌলভীবাজার প্রধান সড়ক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শমশেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল মছব্বির একাডেমী, সুজা মেমোরিয়াল কলেজ, আইডিয়াল কেজি স্কুল, শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিএএফ শাহীন কলেজ শমশেরনগরের শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের মাঝে পড়েন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ঝুঁকি নিয়ে দুটি ট্যাঙ্কারের মাঝ নিয়ে পারাপার হতে দেখা যায়। সড়ক অবরোধ করে তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে থাকায় বাধ্য হয়ে যানবাহনগুলিকে দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শমশেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর চৌধুরী বলেন, এ অবস্থায় যানবাহনগুলি ঘুরে বিকল্প পথে গেলেও শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে দুটি ট্যাঙ্কারের মাঝ দিয়ে পারপার হচ্ছে। আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার বলেন, তার বাসা রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম প্রান্থে। তিনি বুধবার বাধ্য হয়ে তেলের ট্যাঙ্কারের মাঝ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে স্কুলে এসেছেন। স্কুল শেষে আবারও এভাবে তাকে বাসায় ফিরতে হবে।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার কবির আহমদ বলেন, তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। ফলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে এ ট্রেনটি একানে পড়ে আছে। বুধবার কুলাউড়া স্টেশন থেকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন আসার পর রাত ১০টার দিকে আটকা পড়া তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেন শমশেরনগর স্টেশন ত্যাগ করবে।