তিন সীমান্ত দিয়ে আরও ৬৮ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

প্রকাশিত: ১:২৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫

ধলাই ডেস্ক: সিলেট ও সুনামগঞ্জের তিন সীমান্ত দিয়ে আরও ৬৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বুধবার ভোরে সিলেট-জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ৫২ জন এবং সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ১৮, নারী ২২ এবং শিশু ২৮। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের সবাইকে আটক করে বিজিবি জৈন্তাপুর থানা ও ছাতক থানায় হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে ৪ মে থেকে আজ পর্যন্ত মোট ৯০১ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ।

বিজিবি জানায়, আটক অধিকাংশই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া যশোরের অভয়নগর এবং বাগেরহাটেরও কয়েকজন আছেন। সিলেট ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানান, আটক সবার প্রাথমিক পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে, তারা বাংলাদেশি।

লালমনিরহাটের তিন উপজেলার ছয় সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৬৫ নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। গত বুধবার গভীর রাতে তাদের ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিজিবি ও স্থানীয় গ্রামবাসীর বাধায় ৬৫ জনের কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।

আজ দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে এই ৬৫ নারী-পুরুষ-শিশু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে খোলা জায়গায় অবস্থান করছেন। ভোরে এই ৬৫ জনের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁর শিশু সন্তানের জন্য দুধ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ সীমান্তের লোকালয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের দুধ, কলা ও পানি দিয়ে সহায়তা করেন। ওই ব্যক্তির বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকে পড়া অন্তত ১৩ জন ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা। ভারত সরকার তাদের জোর করে ধরে এনে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এদিকে নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে নিতে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর বিওপির চওড়াটারী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আবার বসার আশ্বাস দিয়ে বিএসএফ চলে যায়।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের সানন্দে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আটকে পড়া সবাই আসামের বাসিন্দা। আসামে তাদের সুস্পষ্ট ঠিকানা রয়েছে। তারা ভারতে প্রত্যাবর্তন করতে চায়। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের পুশইন করছে। এটা অমানবিক।

সূত্র: ঢাকা মেইল।