কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের যোগিবিল গ্রামে সরকারি খাস জমিতে বসত ঘর নির্মান করে শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে বসবাস করছে। এ গ্রামে প্রায় ১০ বছর আগে ৬০ পরিবারের জন্য আলোছায়া নামে একটি সরকারি আশ্রায়ণ নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন করে এ গ্রামে আরও একটি আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মাণ করার প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে সরকারি খাস জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাসকারী শতাধিক পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে ভোগছেন।
এ উচ্ছেদ আতঙ্কের কারণে বাড়ি বিদ্যমান সরকারি খাস জমি দখলীয় শতাধিক পরিবার তদন্ত সাপেক্ষে এ জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানের কার্যালয়ে এসে আবেদন জমা করেছেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে মো. সোহেল আহমদ,আলা উদ্দীন ও তাজু মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, কোন প্রকার বন্দোবস্ত না নিয়েই বসত ঘর নির্মাণ করেই তারা যোগিবিল গ্রামে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে বসবাস করছেন এখানে থেকে তারা নানা পেশায় কাজ করছেন। তাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।
গত প্রায় ১০ বছর আগে এ গ্রামে আলোছায়া নামে একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে ভূমিহীন ৬০ পরিবারকে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এখন যোগিবিল গ্রামে নতুন করে আরও একটি আশ্রায়ন প্রকল্প করে ঘর নির্মাণের কথা তারা শুনেছেন। ইতিমধ্যে একটি জরিপ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ফলে তাদের মাঝে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তারা আরও বলেন ,এ গ্রামে প্রচুর খাস জমি রয়েছে। সেখানে নতুন প্রকল্প গ্রহন করা হোক। আর বাড়ি বিদ্যমান অবস্থায় দখলিয় জমিতে তদন্তক্রমে তাদের নামে বন্তোবস্ত দেওয়া হোক। এ জন্য তারা মঙ্গলবার দুপুরে আবেদনকারী শতাধিক ব্যক্তি কমলগঞ্জ উপজেলা পষিদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ আবদেন করেছেন।
আলীনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনিও শুনেছেন যোগিবিল গ্রামে নতুন করে আরও একটি আশ্রায়ন প্রকল্প গ্রহন করে কিছু বসতবাড়ি নির্মিত হবে। তবে উচ্ছেদ আতঙ্কে আবেদনকারীদের এলাকায় না অন্য স্থানে হবে তা তিনি জানেন না।
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, যোগিবিল গ্রামে সরকারি খাস জমিতে বাড়ি বিদ্যমান ও দখলিয় শতাধিক পরিবার এসে তাদের নামে জমি বন্দোবস্ত দানে সহায়তা করতে আবেদন দিয়েছেন। যারাই আবেদন করেছেন তারা ভূমিহীন। তিনি এখন এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে আবেদনকারীদের সহায়তা দানে সুপারিশকৃত আবেদন সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করবেন।