কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮ টায় তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিন ঘুরে জানান, ওই স্কুলের গণিতের শিক্ষক মো: কামাল উদ্দিন ও মো: তমিজুর রহমান এবং ইংরেজি শিক্ষক মো: আবুল কালাম উভয়ে আলাদা ৩টি কক্ষে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং চলাকালীন সময়ে ছবি তুলতে চাইলে কোচিংরত শিক্ষকরা উপস্থিত সাংবাদিকদের বাঁধা প্রদান করেন। কোচিং বানিজ্য সম্পর্কে কোচিং শিক্ষকদের সাথে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে ক্লাসরুম থেকে দ্রুত চলে যান এবং শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের পিছনে লেলিয়ে দিলে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে স্কুলের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সাংবাদিকদের ধাওয়া করে।
পরে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হস্তক্ষেপে সাংবাদিকরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসেন। কোচিং এ আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা বলে, ‘তেতইগাঁও রশিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক, মো: কামাল উদ্দিন প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে পাঁচশত টাকা করে কোচিং ফি আদায় করেন, একই অবস্থা গণিত শিক্ষক মো: তমিজুর রহমান ও মো: কামাল উদ্দিনের ।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের কোচিংয়ে না করলে পরীক্ষায় ছাড় দেওয়া হবে না বলে শিক্ষকরা ভয়ভীতি দেখান, তাই অনেকেই বাধ্য হয়েই ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষকদের কাছে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে প্রদান করতে হয়। সপ্তাহের প্রতি ১ দিন পরপর তারা এভাবে ক্লাস করে।
তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ‘আমাদের স্কুলে বিশেষ ক্লাস হয়। কিন্তু যদি বিশেষ ক্লাসের নামে যদি কোচিং বাণিজ্য হয়ে থাকে তাহলে স্কুল কমিটি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার এ, এস, এম, আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারী নীতিমালা লঙ্গন করে বিশেষ ক্লাসের নামে যদি কোচিং বাণিজ্য করে থাকেন, তাহলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রসাশক নাজিয়া শিরিন, ‘বর্তমানে কোচিং বানিজ্য নিয়ে আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে। আমি বিষয়টি নিজে তদন্ত করে দেখবো। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।