
স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) এর অভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর এবং ইনডোরের চিকিৎসক ও নার্সরা ।
প্রতিদিন যেখানে উপজেলার চা বাগান শ্রমিক সহ নিন্মআয়ের শত শত সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসেবা প্রদান করেন চিকিৎসকরা। অথচ সেই চিকিৎসক ও নার্সরা নিরাপত্তার জন্য করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সরকারিভাবে কোনো বিশেষ পোশাক দেয়া হয়নি তাদের। নিজ খরচে কিনে আনা নিন্মমানের মার্কস ছাড়া আর কোন কিছুই নেই তাদের সুরক্ষিত রাখতে। আদৌ কি সরকারি ভাবে তাদের কোনো বিশেষ পোশাক দেয়া হবে কিনা তাও কেউ বলতে পারছেন না। উপজেলা প্রাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশ টি আইসোলিউসিন সিট তৈরী রাখলেও, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য কীট এখনও পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া হয়নি।
অথচ উপজেলার এ হাসপাতালটির আউটডোর এবং ইনডোরে প্রতিদিনই বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসাসেবা পেতে শত শত রোগী ভিড় করে থাকেন। আউটডোরের এসব রোগীরা টিকেট সংগ্রহ করে যার, যার রোগ অনুযায়ী আলাদাভাবে ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন। তাই এক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আউটডোরের রোগী দেখার চিকিৎসকরা ও ইনডোরের নার্সরা। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে দেখা গেছে, হাসপাতালের আউটডোর এবং ইনডোরের যেসব চিকিৎসকরা প্রতিদিন নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন, তাদের কারো শরীরেই বিশেষ কোনো পোশাক নেই। যেখানে এসব চিকিৎসকদের সরকারিভাবে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দেয়ার কথা। সেখানে তারা শুধুমাত্র নিজেদের টাকায় কেনা একটি মাস্ক ব্যবহার করে স্বাভাবিক পোশাক পড়েই নিয়মিত রোগী দেখছেন।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সালমা বেগম জানান, মানুষ আতঙ্কে হাসপাতালের আউটডোরে ভিড় করছে। কিন্তু ভয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। একমাত্র কয়েকজন শিশু রোগী ছাড়া বাকী মহিলা ও পুরুষের সব ওয়ার্ড গুলোই খালি।
সোমবার সরজমিনে হাসপাতালের ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে, তবে কোন বাথরুমেই রয়েছে অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন নেই হাত ধোয়ার সাবান। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুবুল আলম ভুঁইয়া বলেন, সচেতনতার নির্দেশনা মানছে না কোনো রোগীই। সাবান দিলেও পরবর্তীতে সাবান পাওয়া যাচ্ছেনা। চিকিৎসকদের জন্য গ্লাভস, মাস্ক এবং বিশেষভাবে বিশুদ্ধকরণ ড্রেস এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে।