ঈদের পর পর্যটক বেড়েছে শ্রীমঙ্গলে

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
ছবি- ধলাইর ডাক

শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা: মৌলভীবাজার প্রতিবারের মতো এবার ঈদের ছুটিতে চাহিদামত পর্যটক না পেলেও ঈদের ছুটি শেষে পর্যটকরা আবারো আসতে শুরু করেছে শ্রীমঙ্গলে। ঈদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এখানে তাই রয়ে গেছে ঈদের আমেজ। ডেঙ্গু, বৈরি আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত কিছুই ঠেকাতে পারছেনা পর্যটকদের। পরিবার পরিজন আর বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে পর্যটকরা এখন শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটনস্পটগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পর্যটকদের দেখার জন্য শ্রীমঙ্গলে রয়েছে সারি সারি চা-বাগান। রয়েছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই), চা-কন্যা ভাস্কর্য, বধ্যভূমি-৭১, চা জাদুঘর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বার্ড পার্ক, নীলকণ্ঠ সাত রঙের চা, লাল পাহাড়, শঙ্কর টিলা, ভাড়াউড়া লেক, ব্রিটিশদের সমাধিস্থল ডিনস্টন সিমেট্রি, হরিণছড়া গলফ মাঠ, সুদৃশ্য জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, সুপ্রাচীন নির্মাই শিববাড়ি। এছাড়াও উঁচু-নিচু টিলা ঘেঁষে এখানে গারো, খাসি, ত্রিপুরা, মণিপুরিসহ নানা জাতির বসবাস।

গতকাল শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটনস্পটগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটকদের ভীড়। শহরের কাছাকাছি চা বাগানগুলোতে পর্যটকরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মাহমুদ হাসান রনি বলেন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ছিলাম। ঈদে পরিবারের সকলকে সময় দিয়ে এখন ঈদের পর বন্ধুদের নিয়ে বের হয়েছি ঘুরতে। সবুজ চায়ের বাগান, টিলা, বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছি। শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেকোনো মানুষকে বিমোহিত করে। আর এখানে আসার খরচও অনেক কম হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট এন্ড ট্যুর এর সত্বাধীকারি সেলিম আহমেদ ধলাইর ডাক‘কে বলেন ঈদের ছুটির পরও আমাদের রিসোর্টসহ এখানকার হোটেল রিসোর্টগুলোতে পর্যটক আসছে। আমরা আশা করছি এরকমভাবে আরও কয়েক দিন যাবে। ঈদ উপলক্ষে দেশে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলে এসেছেন।

ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো হোটেল রিসোর্টগুলোতে পর্যটকরা রয়েছেন। ‘ঈদের পরদিন থেকে এখন পর্যন্ত দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান ও ভালো মানের হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে এখন পর্যটকেরা শ্রীমঙ্গলকেই বেছে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকায় অনেক পর্যটকই বিরুপ মন্তব্য করছেন। চট্রগ্রাম থেকে আসা সুমি আক্তার বলেন, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান যাচ্ছিলাম। শহরের ভিতরেই রাস্তার অনেক জায়গা ভাঙা। আর শহর বেড়িয়ে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। যেহেতু এটি পর্যটন এলাকা, তাই এখানকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করাটা জরুরী।

মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান ধলাইর ডাক‘কে বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দর্শনীয়স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে শেষে পর্যটকরা যেন নিভিগ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারে সে মোতাবেক আমাদের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।