বিনোদন ডেস্ক: গেল শুক্রবার খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান। অনুষ্ঠানে পিস্তল বের করে সানীকে গুলি করার হুমকি দেন জায়েদ। যদিও আগে অনুষ্ঠানে ঢুকে জায়েদকে দেখতে পেলে তাকে চড় মারেন সানী।
এ সময় জায়েদের উদ্দেশে সানী বলেন, তোরে না নিষেধ করছি, আমার বউরে (চিত্রনায়িকা মৌসুমী) ডিস্টার্ব করবি না। জবাবে কোমর থেকে তাৎক্ষণিক পিস্তল বের করেন জায়েদ। বলেন, গুলি করে দেব।
এই চিত্রনায়িকার ভাষ্য, আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে ও আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সে কখনই আমাকে অসম্মান করেনি।
মৌসুমী বলেন, কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে আমাকে বিরক্ত করছে- উত্ত্যক্ত করছে, এই জিনিসটা আমার আসলে… জানি না এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।
এই অভিনেত্রী স্বামী ওমর সানিকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে বলেন- আমি মনে করি, এখানে জায়েদের খুব একটা দোষ আমি পাইনি। আরেকটা কথা বলতে চাই, আমাকে ছোট করার মধ্যে আমাদের… যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মৌসুমী আরো বলেন, আপনারা সাংবাদিক ভাইরা আসলে একটা নিউজ পেলে, কথা না বলেই প্রকাশ করেন। এটা আসলে ঠিক না। এটা আসলে আলোচনা করা উচিত। যেহেতু আমার প্রসঙ্গ আসছে, তাই বিষয়টি আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন, তাহলে হয়তো প্রসঙ্গটা লিখতেনই না। তিনি (সানী) আসলে এক তরফা বলেছেন, কিন্তু আমি বলেছি কি-না, আমি অভিযোগ করেছি কি-না; জানাটা খুব বেশি জরুরি ছিল।
এ ঘটনায় গতকাল শিল্পী সমিতি বরাবর ওমর সানী অভিযোগও করেন। তার স্বাক্ষরিত অভিযোগে লেখা হয়, সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস যাবৎ আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানা ধরনের হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
এই ব্যাপারে তাকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরব্বি হিসেবে ডিপজল ভাইয়ের কাছেও অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা হলে এই বিষয়ে সংযত হওয়ার অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে তিনি অভিযোগ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই ঘটনা শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন না। প্রথমত, পিস্তল আমার সঙ্গে ছিল না। আর ঘরসংসার ভাঙার ইঙ্গিত খুবই খারাপ। এতে মৌসুমীকেও ছোট করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নাটক চলছে। তিনি যখন দেখেছেন আমি এগুলোর সঙ্গে নেই, তখন ভিন্ন দিকে বিষয়টাকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…