কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১১ ফেব্রæয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভানুগাছ বাজারস্থ কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আশু রঞ্জন দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মহিম দে। সম্মেলনে বক্তারা সংবিধানে বিরাজমান অসংগতি দুর করে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ১৯৭২ সালের সংবিধান পূর্ণবাস্তবায়ন, শারদীয় দুর্গোৎসবে ৩দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটিসহ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানান।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ধীরেন্দ্র মালাকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নকুল দাশ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় মুন্না, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রবীন শিক্ষাবিদ নিহারেন্দু ভট্টাচার্য্য, বর্তমান সভাপতি জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক দেবতোস সিংহ চৌধুরী, মনোবীর রায় মঞ্জু, প্রাণগোপাল রায়, সঞ্জয় দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার দাশ। সভার শুরুতে সম্পাদকীয় রিপোর্ট পেশ করেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাশ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, নারীনেত্রী মুন্না রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শিক্ষক অসমঞ্জু প্রসাদ রায় চৌধুরী, নারায়ণ মল্লিক সাগর, ইউপি সদস্য সুনীল মালাকার, শিক্ষক বিজিত পাল, প্রত্যুষ সিংহ, শিক্ষক শংকর চন্দ্র দেবনাথ, রনজিত অধিকারী, সুশেন কুমার সিংহ, নির্মল কুমার সিংহ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যুষ ধর।
সম্মেলন শেষে ২য় পর্বে সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আশু রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মহিম দে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র দাশকে সভাপতি ও সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সম্মেলনে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক সনাতনী ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।