কমলগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে স্কুল-কলেজে সচেতনতা সভা

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: সারা দেশের ন্যায় ছেলেধরা গুজবে আতংকিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সকল স্কুল ও কলেজের অভিভাবকরা। বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতি কমে গেছে শিক্ষার্থীদের। আতংকিত অভিভাবকরা নিজের সন্তানকে নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে।

এনিয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সচেতন করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনাতমূলক সভা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ, শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়েল কলেজ, পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, শমশেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীবাজার কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, কালেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বনগাঁও আহমদ ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জন সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসব সভায় কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ম. মুর্শেদুর রহমান, অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ, পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু, স্কুল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ছেলেধরা বা গলাকাটা সন্দেহে আপনারা আইন নিজেদের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের হাতে তুলে দিন। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নিন।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কাউকে দেখলে পুলিশকে অবহিত করতে অনুরোধ জানান তারা।

আলাপকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করেছি। স্থানীয়দের সচেতন করতে স্কুল, কলেজে সচেতনমূলক সভা করা হচ্ছে। মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চলছে। ছেলেধরার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। এর কোনো ভিত্তি নেই। যা ঘটছে তা গুজবের কারণে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত কেেয়কদিন ধরে ছেলেধরা আতংকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতে শুরু করছে। শ্রীসূর্য্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে আতংকিত পরিবার তাদের সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না।

উসমানগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাবেরী দে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ছেলেধরা গুজবে আতংকে তারা সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না। আমরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি। ছেলেধরা সন্দেহে কমলগঞ্জসহ সারা জেলায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।