কমলগঞ্জের নন্দরানী চা বাগানের সড়কের গেইটে তালা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ব্যক্তি মালিকাধীন একটি চা বাগানের সড়কের গেইট বন্ধ করে দেয়ার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ। এই রাস্তাটি ধরে আনারস, লেবু, কাঁঠাল, কলা, নাগা মরিচ ইত্যাদি ফসল নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হঠাৎ করে নন্দরানী চা বাগান কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সবাই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার নন্দরানী চা বাগানের দুইপাশে রয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা। গেইটের একদিকে জঙ্গল বাড়ি, হোসনা বাদ, বিলাশ ছড়া, হোসনাবাদ ৬ নং ১১নং ও ১২ নং খাসিয়া পুঞ্জি, হাফরা ছড়া ইত্যাদি ওপর পাশে মহাজিরাবাদ, বিষামনী, রাধানগর ডলোবাড়ি, বেগুন বাড়ি ইত্যাদি গ্রাম। পাহাড়ি এই এলাকাগুলোতে লেবু আনারস, নাগামরিচ, কাঁঠাল, পান ইত্যাদি চাষাবাদ হয়ে থাকে। তিন বছর আগেও এখানে কোন গেইট ছিলো না। গত আড়াই বছর আগে এখানে নন্দরানী চা বাগান কর্তৃপক্ষ একটি গেইট নির্মাণ করে।
লেবু ও আনারস বাগান মালিক আবু সাহিদ ও আব্দুল হান্নান বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ রাস্তার গেটে তালা মেরে যাতায়াতে বাধা দেওয়ার কারণে বাগান মালিকরা বাগানে যাওয়া আসা এবং বাগান থেকে ফসল কেটে বাজারে নেওয়া নিয়ে বিরাট সংশয় দেখা দিয়েছে। এতে তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও জানান তিনি।
নন্দরানী চা বাগানে হেড ক্লাক পংকজ দাস বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সপ্তাহে দুই দিন এই রাস্তায় চলাচল করা যাবে না। বাকি ৫দিন সবাই এই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। এটা বাগানের নিজস্ব রাস্তা। তাদের কথামতোই চলতে হবে। আমরা বাগানে চাকুরী করি, আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয় আমরা সেটা মেনে চলি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দরানী চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদ এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। যেহেতু এই রাস্তা দিয়ে জরুরী কৃষি পণ্য লেবু, আনারস ইত্যাদি নিয়ে আসা হয় সেহেতু বাগান কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এই এলাকার বাসিন্দারা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো। তবে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বড় গেইটের ভিতরে মাত্র ৬টি পরিবার আছে। এদের আসা যাওয়ার জন্য পকেট গেইট খোলা আছে। এছাড়া শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ আমাদেরকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।